এম, এ কাশেম
বিশেষ প্রতিনিধি চট্টগ্রাম :
ঢাকা শহরে ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা চলাচলের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। অবশ্য সেই নির্দেশনা আগে ও ছিলো।
এর আগে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের প্রায় জায়গায়- ই তা চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার পর ও অহরহ চলাচল করছে! বিশেষ করে উত্তর চট্টগ্রামের মীরসরাই-বারইয়ারহাট পৌরসভা বাজার থেকে দক্ষিণ দিকে অহরহ চলাচল করছে ওই ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা! তা ও আবার উল্টো পথে ও চলাচল করছে। এতে স্থানীয় ভাবে দায়িত্ব রত: ট্রাফিক পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ একেবারেই নির্বিকার রয়েছে! এর কারন, উদ্ঘাটন করা কোনো দুরহ ব্যাপার নয়।
কারন, ওই সব ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা মালিক ও চালকদের কাছ থেকে নিয়মিত মাসোহারা নিয়ে থাকে তারা। এমন অভিযোগ এর সত্যতা রয়েছে শতোভাগ।নয় তো নিষিদ্ধ ঘোষিত ওই ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা তাদের চোখের সামনে দিয়ে চলাচল করে কি ভাবে?
বারইয়ারহাট পৌরসভা বাজার এলাকার বিশ্বরোডে পালাক্রমে ডিউটি করে ৪/৫জন ট্রাফিক পুলিশ। তাদের চোখের সামনে ওই সব ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা স্টান্ড। এবং এখান থেকেই উত্তর ও দক্ষিণ দিকে চলাচল করে যাচ্ছে ওই সব ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা। কিন্তু, তারা দেখে ও না দেখার ভ্যান করে।এমন যখন অবস্থা তখন অনেক কে বলাবলি করতে শোনা যায়, ট্রাফিক পুলিশরা ওই সব ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সার মালিক ও চালকদের কাছ থেকে নিয়মিত মাসোয়ারা নিয়ে থাকে। ফলে, তারা তাদের চলাচলের ওপর কোনো ধরনের বাধা-নিষেধ আরোপ করে না।
অত সম্প্রতি সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বারইয়ারহাট পৌরসভা বাজার থেকে পার্বত্য জেলা এলাকায় চলাচল করা গাড়ির উদ্বোধন করতে আসলে ট্রাফিক পুলিশরা পুরো বারইয়ারহাট পৌরসভা বাজার এলাকা থেকে ওই সব ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা শুন্য করে ফেলে। কারণ, ওবায়দুল কাদের এর নিজের- ই ঘোষণা ছিলো মহাসড়কে ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা চলাচল করতে পারবে না। আর তা তাকে দেখানোর জন্য এখানকার ট্রাফিক পুলিশরা তা করেছে বলে স্থানীয় লোকজন জানান। তবে, ওবায়দুল কাদের চলে যাওয়ার পর পর-ই আবার যথাস্থানে ফিরে আসে ওই সব ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা। অন্যদিকে মহাসড়কে দায়িত্ব রত: স্থানীয় জোরারগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ ও কেনো জানি তা দেখে ও না দেখার ভ্যান করে।