নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কিশোরগঞ্জ মাইজখাপন ভূমি অফিস উপসহকারী কর্মকর্তা মোঃ কাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ৷ ঘুষের টাকা লেনদেনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায়,সাম্প্রতিক মাইজখাপন ইউনিয়নের ভোলা মিয়া কাছ থেকে খাজনা খারিজ বাবদ অতিরিক্ত টাকা আদায় করে।
এবিষয়ে ভোলা মিয়ার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, ভূমি কর্মকর্তা কাদের আমার কাছে খাজনা খারিজ বাবদ অতিরিক্ত টাকা দাবি করেন তখন আমি নিরুপায় হয়ে খাজনা খারিজ স্বার্থে ৫০০০ হাজার টাকা দিয়েও অতিরিক্ত ৬০০ শত টাকা বকশিশ প্রদান করি।
এবিষয়ে সরেজমিনে গিয়ে এলাবাসীর কাছ থেকে জানা যায়, উপসহকারী ভূমি অফিস কর্মকর্তা কাদের একজন ঘুষখোর, সে টাকা ছাড়া কোন কিছু বুঝে না, অতিরিক্ত টাকা দিলে খাজনা খারিজ করতে রাজি থাকেন, অন্যথায় তালবাহানা কথা বলেন, সাধারণ জনগণকে হয়রানির শিকার করেন। ভুক্তভোগীরা আরোও জানান, প্রতি খাজনা খারিজ এর জন্য তাকে১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা ঘুষ দিত হবে অন্যতায় খাজনা খারিজ হবে না। আরেক জন ভুক্তভোগী জানান আমার ২১ শতাংশ ভূমি খাজনা খারিজ বাবদ ৩০,০০০ হাজার টাকা দাবি করে। এভাবে প্রতিনিয়ত ভুক্তভোগীদের কাছে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে যাচ্ছেন।
এমনকি ঐ কর্মকর্তা যথা সময়ে ভূমি অফিসে আসে না সাধারণ জনগণ চরম ভোগান্তির শিকার এমনটাই জানিয়েছেন স্থানীয় জনগণ।
এবিষয়ে মুঠোফোনে একাধিকবার কাদেরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও সে ফোন রিসিভ করেন নাই।
দিনশেষে আমরা কয়েকজন গণমাধ্যম কর্মী কাদিরের বাসভবনে যাই এবং সেখানে গিয়ে দেখতে পাই তার বাসা তালাবদ্ধ রেখে আত্মগোপন করে এবং মোবাইল ফোনটিও বন্ধ করে দেয়, তখন তার সাথে আমাদের আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এবিষয়ে উপজেলা ভূমি অফিস সদর কিশোরগঞ্জ সহকারী কমিশনার ভূমি রাকিবুল ইসলাম এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, বিষয়টি আমাদের নলেজে আছে, আমরা উনাকে তলব করেছি, তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলে যথাযথ আইনানুজ্ঞ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ আজিজুল হক ফাহিম, বার্তা সম্পাদক : মোঃ সাইদুর রহমান
সম্পাদকীয় কার্যালয় : কাটাবাড়িয়া মোড়, কিশোরগঞ্জ। মোবাইল নাম্বার : 01716-132929,
Email: anusandhanibarta@gmail.com
অনুসন্ধানী বার্তা: কপিরাইট © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত