কটিয়াদী উপজেলা প্রতিনিধি:-
সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৩ইং সকাল ১০ টায় ভৈরবে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) উদযাপন উপলক্ষে পবিত্র জশনে জুলুছ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত।
ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) উপলক্ষে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে জশনে জুলুস মিছিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভার সকল ওয়ার্ড থেকে খণ্ড খণ্ড জুলুছ সকাল ১০টায় পৌর বাসস্ট্যন্ড ফল মার্কেট প্রাঙ্গনে জমায়েত হয়। পবিত্র জশনে জুলুছ ও আলোচনা সভায় ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) উদযাপন কমিটির সভাপতি হাজী মো. আব্দুল করিম মিয়ার সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক ছিলেন, হযরত মাওলানা মোঃ আবু সুফিয়ান আল কাদরী ও মাওলানা মুফতি জহিরুল ইসলাম ফরিদী।
ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শামসুজ্জামান বাচ্চুর সঞ্চালনায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) উদযাপন কমিটির প্রধান পৃষ্টপোষক পীরে তরিকত এ.আই.এম মাহবুব উল্লাহ আল-কাদেরী, প্রধান উপদেষ্টা আলহাজ্ব মুজিবুর রহমান মজনু, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সেন্টু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল মনসুর, সাংগঠনিক সম্পাদক শেফাত উল্লাহ মিয়া, পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি এসএম বাকী বিল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক আতিক আহমেদ সৌরভ, উপজেলা পরিষদ ভাইস-চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আল-মামুন প্রমুখ।
জুলুছ উদযাপনে সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) উদযাপন কমিটি সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মো. আব্দুল্লাহ আল-মামুন।
এছাড়াও অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট ফল ব্যবসায়ী হাজী মো. আবুল কালাম, পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক মো. রাকিব রায়হান, পীরে তরিকত শাহ মোহাম্মদ খন্দকার দ্বীন ইসলাম, পীরে তরিকত মাওলানা উছমান গণি কাদেরী, , পীরজাদা হযরত মাওলানা মুফতী রেজাউল মোস্তফা আল-ক্বাদেরী, আলহাজ্ব বোরহান উল্লাহ কাদেরী, অধ্যক্ষ মুফতী মাসউদ আলম, আল্লামা হারুন অর রশীদ রেজভী, সুফী সাধক ফকির মো. মুজিবুর রহমান মজনু মিয়া চিশতী, বীর মুক্তিযুদ্ধা মোখলেছুর রহমান আল-হোসাইনী, পীরজাদা জিয়াউল মোস্তফা আল-ক্বাদেরী, পৌর ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মুমিনুল হক রাজু, ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী মো. মোমেন মিয়া।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, হিজরী সনের অন্যতম মাস হলো রবিউল আওয়াল মাস। যেই মাসের ১২ তারিখ সোমবার সোবহে সাদিকের সময় দুনিয়ার জমিনে শুভাগমন করেন সৃষ্টিকুলের সর্বশ্রেষ্ঠ রসুল নবী মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (দ.)। যেই নবীজীর শুভাগমনে খুশি হয়েছিল তামাম মাখলুকাত জুলুছ করেছিলেন আল্লাহর অসংখ্য অগণিত ফেরেশতা। এরই ধারাবাহিকতায় সমগ্র বিশ্বের মুসলিম জনতা এই দিনটিকে স্মরণীয় ও বরনীয় করে রাখার জন্য বিভিন্ন আমলিয়াতের পাশাপাশি অত্যন্ত ভাবগাম্ভির্যতার সহিত জশনে জুলুছের আয়োজন করে থাকে। এই জশনে জুলুছ হচ্ছে নবী প্রেমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
জুলুছে আরো উপস্থিত ছিলেন, পীরে তরিকত ফকির মুহাম্মদ আলী শিশু মিয়া, মাওলানা হাবিবুর রহমান নিজামী, মাওলানা শায়েখ আতাউর রহমান মোজাহেদী, আহমাদ আলী ভান্ডারী, মাওলানা রহমতুল্লাহ কামাল, শিবপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সোহরাওয়ার্দী, অধ্যাপক মুহাম্মদ আলী রেযা খান ফাহিম, হাজী মো. ইব্রাহীম খলীল, হাজী জুহুর আলী চিশতীসহ প্রমুখ।
সকাল ১১টায় সকল জুলুছ একত্রিত হয়ে ফল মার্কেট প্রাঙ্গন থেকে নবী প্রেমিকদের বিশাল জুলুছ বাসস্ট্যান্ড দুর্জয় মোড় থেকে বঙ্গবন্ধু সরণি হয়ে ভৈরব বাজার সরকারি কে.বি. পাইলট মডেল হাইস্কুল প্রাঙ্গনে গিয়ে মিলাদ, কিয়াম ও মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়।
জুলুছ মিছিলে কালেমা খচিত পতাকা, প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন ছাড়াও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা নিয়ে নবীপ্রেমী হাজারো মানুষ অংশ নেয়।
এছাড়া মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের নারায়ে তকবির, নারায়ে রেসালতের স্লোগানে স্লোগানে শহরের রাজপথ মুখরিত হয়ে উঠে। মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। পরে মুসলিম উম্মাসহ দেশ ও জাতির শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।
এছাড়াও সারা রাত ব্যাপী ভৈরব পৌর শহরের রাজ কাচারী মাঠ প্রাঙ্গণে ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে দেশ বরণ্য ওলামায়ে কেরামগণ উপস্থিত ছিলেন।
বার্তা প্রেরক: হাজী মোহাম্মদ রুবেল হোসেন সাংগঠনিক সম্পাদক: পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দ:) উদযাপন কমিটি ভৈরব উপজেলা।